
দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি ও স্টাফ রির্পোটারঃ যে মানুষটির চাচা রাজাকার সুলতান খাঁ’র সহচর ছিলো সেই কি না এখন মুক্তিযোদ্ধা,আওয়ামীলীগ এর উপজেলা কমিটির তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক। আসুন জানি তার সম্পর্কে কিছু তথ্যবহুল লিখনির মধ্যে জেনে নিব তার আসল চরিত্র। কে এই ভয়ঙ্কর সরওয়ার খাঁ তার নাম থেকে শুরু করে কিভাবে সে দুপচাঁচিয়া উপজেলা সহ আদমদীঘি এলাকার জনসাধারন কে ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে রেখে সাংবাদিকতার নামে অপসাংবাদিকতা করে নিজের স্বার্থ হাসিল করে চাঁদাবাজি,গুন্ডামি,নিরীহ জনসাধারণকে ভয়ভিতি দেখিয়ে ও মামলা, হামলা জামায়াত শিবির,ইয়াবা ব্যাবসায়ী,মাদক কারবারি,ব্যাবসায়ী,চাকুরিজীবি,ছাত্র-ছাত্রী,লেখক-সাংবাদিক কেউ বাদ যায়নি তার প্রতারনার হাত থেকে।
এমনই এক সাহসী সাংবাদিক ধ্রুব্য নয়ন তার প্রতিবেদনে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেন। তাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। অপর এক সাংবাদিক মোছাব্বর হাসান মুসা তার বিরুদ্ধ্যে কথা বলায় সাংবাদিক মুসাকে ১৯৯৬ইং সালে যৌথ্য বাহীনির হাতে ধরিয়ে দেন। পরে সাংবাদিক মুসা সঠিক তথ্য যৌথ্য বাহিনীকে দিলে তার পর থেকে এম সরওয়ার খাঁ কে আটক করার জন্য অভিযান চালায়। কিন্তু সে আত্মগোপন করে নিজেকে রক্ষা করে। সাংবাদিক মুসা কে দৈনিক করতোয়া পত্রিকার দুপচাঁচিয়া প্রতিনিধি ও কার্ড করে দিবার নাম করে ৫০ হাজার টাকা প্রতারনা করে গ্রহন করেন। তার মধ্যে সে বিভিন্ন সময়ে ৫ শত, ২ শত টাকা করে দিয়ে ৩২ হাজার টাকা ফেরত দেন। বাকি ১৮ হাজার টাকা এখন পর্যন্ত ফেরত না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে। এ বিষয়ে উক্ত টাকা তার কাছে নিতে গেলে মামলা,হামলা ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে। এ বিষয়ে দুপচাঁচিয়া থানায় পর পর ২ বার তার নামে অভিযোগ করা হলেও অজ্ঞাত কারনে সেসব কাজে আসেনি।
তার বিভিন্ন অপকর্মের ইতিহাস তুলে ধরা হলে দুপচাঁচিয়া এলাকার জনগন তাকে গনধোলাই দিতে পারে। তার অপকমের ফিরিস্তি তুলে ধরে গত ১৬ অক্টোবর ২০১৭ইং তারিখে ঢাকা থেকে জাতীয় দৈনিক আমার সময় পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে সে সময় ঔই পত্রিকার ফটো কপি করে দুপচাঁচিয়াবাসি সংগ্রহ ও বিক্রি করে। তার সহযোগী আকরাম নামের এক ডাকাত বিভিন্ন কাজে সহযোগতিা করে তাকে আর্থিক ভাবে সহায়তা করতো। আদমদীঘি এলাকার ফুলবর নামের অপর এক ডাকাত তার আর্থিক যোগান দিত তাকে জনগন মেরে ফেলেছে। ১৯৭১ সালে তার চাচা রাজাকার সুলতান খাঁ কে মুক্তিযোদ্ধারা পিটিয়ে মেরে ফেলে সে সময় সে পালিয়ে সিরাজগঞ্জে আত্মগোপন করে। সে বলে তখন নাকি সিরাজগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধ করেছে। কিন্ত সিরাজগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধার কোন তালিকায় তার নাম পাওয়া যায়নি। দেশ স্বাধীন হলেও সে বিভিন্ন হিন্দুদের ঘরবাড়ি জ¦ালিয়ে দেন। দুপচাঁচিয়া এলাকায় এসে ত্রাস সৃস্টি করে লুটপাট করে।
১৯৭৪ সালে ২৩ জুন দুপচাঁচিয়া থানার অস্ত্র লুট করতে গিয়ে ২ জন কনস্ট্রবল কে হত্যা করে থানার অস্ত্র ভান্ডার থেকে অস্ত্র লুট করে। সে মামলার ৪ নং চাজশীট ভুক্ত আসামি হলেও এখন পর্যন্ত সে থানায় দিনের পর দিন ঘুরাঘুরি করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করাই তার একমাত্র পেশা। সে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পরে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসলে সে জাগো দলে যোগ দেন। পরবর্তীতে জাগো দল থেকে যুবদলের সভাপতি ও বগুড়া জেলা যুবদলের সাংগঠনিক হন। জিয়া সরকারের সময় হঁ/না ভোটের দিনে দুপচাঁচিয়া হাইস্কুলে দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রিজাইডিং জয়ন্ত কুমার কুন্ডুকে মারধর করে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল করে হাঁ ভোটে সিল মারেন।
১৯৮৫ ইং সালে সে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে এ বি এম শাহজাহানের পা ধরে কান্নাকাটি করে । পরে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা নেয়া শুরু করে। ১৯৯০ইং সালে উপজেলা থেকে ঠিকাদারি কাজ নেয়ার জন্য ততকালিন উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু কল্যান প্রসাদ পোদ্দার কে অফিসে আটকে রেখে মারধর করে। সে মামলায় সে গ্রেপ্তার হন। সে একজন সুখ্য সন্ত্রাসী হিসেবে জেলখানায় তাকে ডিটেনশনে থাকতে হয়েছে। পরে ৪ দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এলে অপারেশন ক্লিনহাট এর সময় মিথ্যা তথ্য দিয়ে দুপচাঁচিয়া উপজেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তি সাত্তার ডিলার কে ধরিয়ে দিয়ে তাকে নিঃশেষ করায় এই সেই প্রতারক। তার মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে এবং তাকে চাঁদা না দেবার কারনে দুপচাঁচিয়ার উদীয়মান তরুন নেতা আহম্মেদুর রহমান বিপ্লব,হেলাল উদ্দিন,আব্দুল মতিন সরদার,বাবলুসহ অসংখ্য নেতাকর্মীরা তার চাঁদাবাজির ফলে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। যখন যে নেতা ক্ষতায় যায় তার ছত্রছায়ায় থেকে নিজ স্বার্থ হাসিল করে জীবিকা চালায়। সকালে ঘুম থেকে উঠেই গুল মেরে প্রতারনার ফুন্দি আটে । কার কাছে দাফট দেখিয়ে টাকা আদায় করবে এই ধান্দায় থাকে।
তার বাসা বাড়ীটি সরকারি জায়গায় জোরপূর্বক দখলকৃত উক্ত বাসা থেকে ২০০৮ সালে বগুড়া র্যাব-১২ অভিযান চালিয়ে কাটা পাইপ গান ও গুলি উদ্ধার করে তাকে আটক করার চেষ্টা করলে সে সময় কৌশলে ২ জন সাংবাদিকের সহায়তায় মাইক্রোবাস যোগে নওগাঁর দিকে পালিয়ে রক্ষা পায়। ফিরে এসে আবারও সে ২০১১ সালে আর্ন্তজাতিক মার্তৃভাষা দিবস পালনের সময় রাতে প্রশাসনে লোকজনের সামনে শহীদ মিনারে পুস্পস্তর্বক প্রদানের সময় ও সে সময়ের উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুফিয়া নাজিমের সামনে জুতা পায়ে শহীদ মিনারে উঠে ফুলের মাল্য পা দিয়ে পিশিয়ে নস্ট করে গালিগালাজ করে। এরকম আচরনের একটাই কারন যাতে প্রশাসনের লোকজন তাকে দেখে ভয় পায়।
আওয়ামীলীগ সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ২০০৮সালে ক্ষমতায় এলে সে আবার মুক্তিযোদ্ধার লেবাস পরে বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা করে দিবার নামে অর্থ হাতিয়ে নিতে থাকে। এ বিষয়ে দুপচাঁচিয়ার সুধী মহলের অনেকেই বক্তব্য প্রদান করেন যা ইতি পূবেই পত্রিকায় ছাপানো হয়েছে। গোপনে তার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে তার এক জরিপে দেখা গেছে দুপচাঁচিয়া ও আদমদীঘি এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য থাকা কালে আব্দুল মোমিন তালুকদার খোকার কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা চাঁদা হাতিয়ে নিয়ে তাকে রাজাকার এর ভয়ভিতি দেখিয়ে আসছিল। তদন্ত কালে তিনি বর্তমানে ওই অভিযোগে চাজশিট ভুক্ত হলে তিনি পলাতক রয়েছেন। দুপচাঁচিয়া পৌর সভার সাবেক মেয়র কেও তিনি ছাড় দেননি।
সে সর্ব শেষে ২২ অক্টোবর ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে মানহানিকর পোষ্ট ও ২৩ অক্টোবর সুমন আলীর নিকট মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেয়ায় তাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে ডাকেন। সে তার নামে আদালতে ২০০৯-ও সংশোধিত ২০১৩ এর ৫৭ ধারায় এবং বালাদেশ দন্ডবিধির ৩৪১/৩৮৭ ধারায় মামলা করলে এবং উক্ত মামলার তদন্ত শেষে তার নামে বিভিন্ন অপকর্মের কারন দেখিয়ে পুলিশ চার্জশিট জমা দেন। কিন্তু তার উপর থেকে হুমকি ধামকি দিবার কারনে বাদী মামলা তুলে নিতে বাধ্য হন। অপর দিকে দুপচাঁচিয়া থানার এক প্রবাসি সৌদী ফেরত করমজি গ্রামের মেহেদুল ইসলাম ছুটিতে বাড়ী এলে সে কোট রেজিস্ট্রি করে একটি মেয়েকে বিবাহ করেন। তার বাড়িতে সে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবীকৃত টাকা না দিলে তার নামে সংবাদ লেখার হুমকি দেন। ভুক্তভোগী তার দুলাভাইয়ের মাধ্যমে দাবীকৃত চাঁদার মধ্যে ২১ হাজার টাকা দেন। পরে আবারও ৫ হাজার টাকা দেন। মোট ২৬ হাজার টাকা পেয়েও বাকি ২৪ হাজার টাকার জন্য প্রতিদিন মোবাইল করা অব্যাহত রাখে এভাবে এলাকার জনগন কে হয়রানি করার কারনে দুপচাঁচিয়া বাসি অতিষ্ঠ্য হয়ে উঠেছে।
যার ফলে দুপচাঁচিয়া বাসি গোয়েন্দা দপ্তরের (এনএসআই) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে ৫ অক্টোরর ২০১৮ইং তারিখে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। লেখাগুলি সে অভিযোগের ভিত্তিতেই প্রকাশ করা হলো। অভিযোগের কপি ও পত্রিকার কাটিং সংরক্ষিত রয়েছে। তার বিভিন্ন অপকর্মের ধারাবাহিক প্রতিবেদন আকারে দুপচাঁচিয়া এলাকার তরুন প্রজম্মের নিকট ইতিহাস হয়ে থাকবে। ৭ দিন পর তার চমকপ্রদত্ত আরও তথ্য প্রকাশিত হবে। (চলবে———–। )